যুক্তরাষ্ট্রে নিতে প্রায় দেড় হাজারের মানুষের নথিপত্র বিয়ানীবাজারের ব্যবসায়ী সহিব উদ্দিন সৈবনের ঘাতক জাকিরের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসব নথিপত্রে একটি মেইল যোগাযোগের ফাইলও ছিল। তাতে আফতাবুর রহমান নামের ব্যক্তির মেইল আইডি থেকে এসব নথি আদান প্রদানের প্রমাণ মিলে।

আজ শনিবার রাত সাড়ে দশটায় ব্যবসায়ী সৈবন হত্যাকাণ্ডে তদন্ত অগ্রগতি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন বিয়ানীবাজার থানার ওসি মো. শাহজালাল মুন্সী। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা অনেক আলামত জব্দ করেছি। হত্যাকান্ডের সাথে ৫/৬ লোক সরাসরি যুক্ত ছিল। তাছাড়া এ ঘটনায় দেশের বাইরের ও দেশের ভেতর থেকেও ইন্ধন দেয়ার প্রমাণ রয়েছে। তিনি বলেন, ঘাতক জাকির একেক সময় একেক কথা বলে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা আলামত এবং তথ্য থেকে আমরা নিশ্চিত সে এ ঘটনার সাথে সরাসরি যুক্ত। জাকিরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ি সিলেটের আখালিয়া ঘাট এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গাড়ি জব্দ করা হয়। তবে গাড়ির চালক পলাতক থাকার কথা তিনি জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদম পাচারকাজে জাকির জড়ির থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আমরা তার বাসা থেকে দেড় হাজারের মতো বিভিন্ন ব্যক্তির আইডি, নাগরিক সদন, ছবি উদ্ধার করেছি। আফতাবুর রহমান নামের একটি মেইল আইডির মাধ্যমে এসব নথি আদান প্রদান করার তথ্য প্রমাণ মিলে। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকার একজন এবং যুক্তরাষ্ট্রের একজনও এঘটনার সাথে যুক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ ব্যক্তির নাম পরিচয় আপাতত গোপন রাখা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের বিয়ানীবাজার থানার ওসি শাহজালাল মুন্সী বলেন, দেড় কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এসব টাকার বেশিরভাগ লেন হয়েছে জাকিরের সাথে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত জাকির ও ঢাকার ব্যক্তির সাথে ব্যবসায়ী সৈবনের মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরের তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকা-টি গাড়ির ভেতর ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় জাকিরকে গ্রেফতার এবং তার স্ত্রী রিপা ও শ্বাশুড়ি সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের আইনী হেফাজতে রাখা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনের দৃষ্টিতে সব অপরাধী সমান। এখানে করুণা করার কোন সুযোগ নেই। তবে এ দুই মহিলা ও তাদের সাাথে থাকা ছোট শিশুটির বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।